বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে এখনও পশ্চিমববাংলা সরকারের টানা সমালোচনা করে যাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। শুধু তাই নয়, করোনা পরীক্ষার কম সংখ্যা নিয়েও তারা বারবার প্রশ্ন তুলছে। এ ছাড়া করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালগুলির বেহাল পরিকাঠামো নিয়েও ধারাবাহিক ভাবে অভিযোগ করছে তারা। বিরোধীদের অভিযোগ সত্য কিনা, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে তাদের সমস্ত অভিযোগই বারবার উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অবশ্য ইতিমধ্যে রাজ্য তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে বিজেপি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা নবান্নয় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার বিকেলের আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল ২২। ফলে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩। এই হিসেবে করোনা পজিটিভ মৃতের সংখ্যা হল ১০৫ জন। যদিও মুখ্যসচিব এদিন জানান, করোনা পজিটিভ ১০৫ জনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখেছে অডিট কমিটি। দেখা গিয়েছে, ১০৫ জনের মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়, কিন্তু ৭২ জনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ করোনা নয়, অন্য। পাশাপাশি এদিন তিনি আরও জানান, বাংলায় নতুন করে ৩৭ জন নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৭২ জন।
এদিকে, করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগের পাশাপাশি করোনা ডেথ অডিট কমিটির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। দলের হয়ে এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের মৃত্যুর কারণ সত্যিই করোনা কিনা, যা যাচাই করে দেখার জন্য রাজ্য সরকার একটি অডিট কমিটি গঠন করে। যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কমিটি গঠন করেননি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। মঙ্গলবার তিনি এ কথাও জানান, ওই কমিটি গঠন করেছেন দফতরের আধিকারিকরা। হাইকোর্টে করা মামলায় ওই দুটি বিষয়ের পাশাপাশি আরও দুটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। একটি হল, হাসপাতালগুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে এবং লকডাউন কার্যকর করার সময় পুলিশের সুরক্ষার দায়িত্বও রাজ্যকে নিতে হবে।